চলতি নদের বালু লুট বন্ধে প্রবেশমুখে বাঁশের বেড়া
- আপলোড সময় : ২০-১০-২০২৪ ০৩:০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২০-১০-২০২৪ ০৩:০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদরে চলতি নদে (ধোপাজান) অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা কাজে না আসায় এবার নদের প্রবেশমুখে বাঁশের বেড়া দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার সদরগড় এলাকায় (সুরমা নদীর মোহনা) আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়, যাতে কোনো নৌযান চলতি নদে ঢুকতে না পারে।
ওইদিন বিকেলে জায়গাটি পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল হোসেন। ইউএনও জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় এই বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বালু পরিবহনের কোনো নৌযান নদে প্রবেশ করতে পারবে না। সেখানে লাল পতাকার পাশাপাশি একটি ব্যানার দিয়ে দৃশ্যমান করা হয়েছে। ফলে স্থানীয় লোকজন নদে বাল্কহেড বা অন্য কোনো নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বুঝতে পারবেন।
ইউএনও বলেন, নদটি থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে প্রশাসন ও পুলিশের নিয়মিত টহল থাকবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই নদে ছোট ছোট নৌকায় (বারকি নৌকা) বালু তুলে এলাকার সাধারণ লোকজন জীবিকা নির্বাহ করেন। বালু তোলার সুযোগ না পেলে অনেকেই বিপাকে পড়বেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চলতি নদে ২০১৮ সাল থেকে ইজারা বন্ধ আছে। এরপরও বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হয়ে আসছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর নদে বালু-পাথর উত্তোলন বেড়ে যায়। প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে চেষ্টা করেও এসব কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি। ৮ অক্টোবর চলতি নদে বাল্কহেডসহ বালু ও পাথর পরিবহনে থাকা অন্যান্য নৌযান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস মিয়া।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস মিয়া জানান, আমরা চেষ্টা করছি যাতে কেউ অবৈধভাবে এখানে বালু-পাথর উত্তোলন করতে না পারেন। নিয়মিত অভিযান চলছে। অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে আমরা কঠোর। যাঁরাই নদে প্রবেশের চেষ্টা করবেন, কঠোর ব্যবস্থা নেব। ইতিমধ্যে অনেকের জেল-জরিমানা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ